উত্তরবঙ্গের হেরিটেজ ট্যুর — ইতিহাসের পথে এক স্মরণীয় ভ্রমণ

Mahasthan Archaeological Museum

রেট দেওয়া হয়নি 0 রিভিউ থেকে
0/5
0% অতিথিদের সুপারিশকৃত

সময়কাল

5 Days

ট্যুরের ধরণ

অ্যাডভেঞ্চার ট্যুর

গ্রুপের আকার

10 persons

অবস্থান

বাংলাদেশ

সংক্ষিপ্ত বিবরণ

ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট, প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ এবং উত্তরবঙ্গের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য একসাথে আবিষ্কার করুন এই ৫ দিনের ব্যক্তিগত ট্যুরে। অভিজ্ঞ গাইড এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে ভ্রমণটি হবে আরামদায়ক ও ঝামেলামুক্ত। বাংলাদেশের তিনটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের একটি — পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষ — এর মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান ঘুরে দেখুন। ট্যুরটিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে হোটেল পিকআপ ও ড্রপ-অফ, প্রবেশ ফি এবং চার রাতের আবাসনের ব্যবস্থা। প্রাচীন ইতিহাস ও কিংবদন্তির সঙ্গে জড়িত স্থাপনা যেমন বেহুলা লক্ষীন্দর বাসর ঘর, ১৫শ শতাব্দীর কুসুম্বা মসজিদ এবং বিভিন্ন মন্দির কমপ্লেক্স ঘুরে দেখুন এবং ইতিহাসের গল্প শুনুন আপনার ব্যক্তিগত গাইডের কাছ থেকে।

কী কী দেখবেন এই ট্যুরে?

  • পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার: দক্ষিণ হিমালয়ের বৃহত্তম বৌদ্ধ বিহারগুলোর মধ্যে একটি, ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট।
  • কুসুম্বা মসজিদ: পাথরের নির্মিত ১৫শ শতাব্দীর এই মসজিদটি তার খোদাই ও কারুকাজের জন্য বিখ্যাত।
  • নবরত্ন মন্দির: নয় চূড়ার এই হিন্দু মন্দিরটি বাংলার ঐতিহ্যবাহী মন্দির স্থাপত্যের নিদর্শন।
  • বেহুলা লক্ষীন্দর বাসর ঘর: বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান, বিখ্যাত বেহুলা-লক্ষীন্দরের লোককাহিনীর সঙ্গে জড়িত।
  • মহাস্থানগড়: খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতাব্দীর প্রাচীন শহরের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।
  • গোবিন্দ ভিটা: মহাস্থানগড়ের অংশ, প্রাচীন মন্দির মাউন্ড ও খণ্ডাবশেষ।
  • ছোট সোনা মসজিদ: সুন্দর গম্বুজ ও কারুকাজে সমৃদ্ধ এই মসজিদটিকে ‘ছোট সোনা মসজিদ’ বলা হয়।
  • তাহখানা কমপ্লেক্স: মুঘল আমলের রাজপ্রাসাদ, মসজিদ ও স্নানঘাট নিয়ে গঠিত ঐতিহাসিক স্থাপনা।
  • তোহাখানা মসজিদ: ১৭শ শতাব্দীর মসজিদ, মুঘল স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন।
  • দারাসবাড়ি মসজিদ: সুলতান শামসুদ্দিন ইউসুফ শাহ কর্তৃক নির্মিত, টেরাকোটার নকশার জন্য পরিচিত।
  • চিকা মসজিদ: সাধারণ অথচ সৌন্দর্যমণ্ডিত নকশার ছোট মসজিদ।
  • বরেন্দ্র রিসার্চ মিউজিয়াম: দেশের প্রাচীনতম জাদুঘরগুলোর একটি, যেখানে রয়েছে বাংলার প্রাচীন স্থাপত্য, ভাস্কর্য ও শিলালিপি।
  • পুঠিয়া মন্দির কমপ্লেক্স: টেরাকোটা ও পাথরের কারুকাজে সমৃদ্ধ একগুচ্ছ হিন্দু মন্দির।
  • পুঠিয়া রাজবাড়ি: প্রাচীন জমিদার বাড়ি ও মন্দিরের সমাহার, পুকুর ও বাগানবেষ্টিত।
  • বাঘা মসজিদ: ১৬শ শতাব্দীর মসজিদ, এর দৃষ্টিনন্দন টেরাকোটা কাজ বিখ্যাত।

অন্তর্ভুক্ত/বহির্ভূত

Specialized bilingual guide
Private Transport
Entrance fees (Cable and car and Moon Valley)
Box lunch water, banana apple and chocolate
Additional Services
Insurance
Drink
Tickets

ভ্রমণবৃত্তান্ত

ভ্রমণের ধরণ

সাংস্কৃতিক অন্বেষণ
অবসর এবং আরাম
উৎসব ও অনুষ্ঠান

ক্যাম্পিং/স্কুল ভ্রমণের সুবিধা

ট্যুর গাইড পরিষেবা
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান / অনুষ্ঠান
পানীয় জল সরবরাহ
গাইডেড ন্যাচার ওয়াকস / ট্রেকিং
নিরাপদ ও আরামদায়ক পরিবহন
Certified Educators/Tour Guides
খাবার পরিকল্পনা (হালাল/নিরামিষ)
ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা থাকার ব্যবস্থা
অংশগ্রহণের সার্টিফিকেট (শিক্ষামূলক ভ্রমণের জন্য)

বাসস্থানের সুবিধা

বিনামূল্যের ওয়াই-ফাই
এয়ার কন্ডিশনিং
রুম সার্ভিস
ব্যক্তিগত বাথরুম

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী

ট্যুর কখন এবং কোথায় শুরু হবে?
প্রথম দিন-এ আপনার যাত্রা শুরুর দিন! আপনার জন্য প্রাইভেট গাইড ও গাড়ি ঢাকার হোটেল থেকে সকালে পিকআপ করবে। আমাদের গাইড আপনাকে ট্যুর হাইলাইটস আর ইটিনারারি বুঝিয়ে দেবেন, তারপর বগুড়ার পথে রওনা হবেন। আপনার চূড়ান্ত পিকআপ টাইম এবং লোকেশন বুকিং কনফার্মেশনে জানিয়ে দেওয়া হবে।
ট্যুর কখন এবং কোথায় শেষ হবে?
দিন ৫-এ আপনার ট্যুর শেষ হবে রাজশাহী থেকে প্রাইভেট গাড়িতে ঢাকায় ফিরে এসে। বিকেলের মধ্যে আপনাকে আপনার হোটেল বা পছন্দের লোকেশনে নামিয়ে দেওয়া হবে। যদি চান, ঢাকায় অতিরিক্ত এক রাত থাকতে পারেন বিশ্রামের জন্য।
হোটেল অ্যাকোমোডেশন কি অন্তর্ভুক্ত?
জি হ্যাঁ! এই ৫ দিনের ট্যুরে ৪ রাতের আরামদায়ক ৩-স্টার বা হেরিটেজ হোটেল অন্তর্ভুক্ত আছে। প্রতিটি হোটেলে ব্রেকফাস্ট থাকবে এবং গুরুত্বপূর্ণ হেরিটেজ সাইটের কাছে অবস্থান করবে। চাইলে অতিরিক্ত মানের হোটেলে আপগ্রেডের সুবিধাও রয়েছে।
হোটেল পিকআপ এবং ড্রপ-অফ কি অন্তর্ভুক্ত?
জি হ্যাঁ! ঢাকার যেকোনো হোটেল থেকে প্রাইভেট পিকআপ ও ড্রপ-অফ এই প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে। আপনার যাত্রা সহজ করতে ২৪/৭ কাস্টমার সাপোর্টও পাবেন।
খাবার কীভাবে দেওয়া হবে?
প্রতিদিন ব্রেকফাস্ট অন্তর্ভুক্ত আছে, এছাড়াও কিছু লাঞ্চ ও ডিনার স্থানীয় রেস্টুরেন্টে দেওয়া হবে। আমাদের গাইড আপনাকে উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত খাবারের রিকমেন্ডেশনও দেবেন!
এয়ারপোর্ট ট্রান্সফার কি দেওয়া হয়?
এয়ারপোর্ট ট্রান্সফার এই প্যাকেজে ডিফল্টভাবে নেই, তবে আপনার চাহিদা অনুযায়ী অতিরিক্ত চার্জে আমরা আপনার জন্য এয়ারপোর্ট থেকে পিকআপ/ড্রপ-এর ব্যবস্থা করে দিতে পারি। কনফার্ম বুকিংয়ের পর আমাদের টিমকে আপনার ফ্লাইটের তথ্য দিন।
আমার গাইড কে হবেন?
আপনার সাথে থাকবেন একজন অভিজ্ঞ, লাইসেন্সধারী স্থানীয় গাইড যিনি উত্তরবঙ্গের ইতিহাস আর কৃষ্টি খুব ভালো জানেন। পুরো ভ্রমণ জুড়েই তিনি আপনাকে সব জায়গা ঘুরিয়ে দেখাবেন এবং আপনার অভিজ্ঞতা স্মরণীয় করে তুলবেন।
শিশুরা কি এই ট্যুরে যেতে পারবে?
এই হেরিটেজ ট্যুর সব বয়সীদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। তবে এই ট্যুরে অনেক ঐতিহাসিক স্থানেই বেশি হাঁটতে হয়। ট্রলিতে করে একবারে ছোট বাচ্চাদের নিয়ে যেতে চাইলে খেয়াল রাখতে হবে কিছু হাঁটার পথ ভাঙ্গা, এবড়োথেবড়ো, অসমান, অমসৃণ আছে।
কী কী জিনিস সঙ্গে নিতে হবে?
১) হালকা খাবার (চকোলেট, বাদাম, বিস্কুট,) ৩) ক্যামেরা এবং এর বাড়তি ব্যাটারি। ৪) মোবাইলের বাড়তি চার্জের জন্য পাওয়ার ব্যাংক। ৫) পলিব্যাগ (বৃস্টি হলে প্রয়োজনিয় জিনিসপত্র যেন রাখা যায়) ৬) নিজের জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ ৭) সানগ্লাস, সানস্ক্রিন, সানক্যাপ, হ্যাট ৮) রিফিলেবল পানির বোতল ৯) ছাতা ১০) আরামদায়ক জুতো ১১) মসজিদ/মন্দিরে প্রবেশের জন্য শালীন পোশাক
ট্যুরের ইটিনারারি কি পরিবর্তন করা যাবে?
অবশ্যই! এটি একটি প্রাইভেট ট্যুর, তাই আপনার পছন্দ মতো গন্তব্য বা ভিজিটের সময় পরিবর্তন করা সম্ভব। আপনার পছন্দ আগে থেকে আমাদের জানান।
বিশেষভাবে লক্ষনীয় বিষয়সমূহ
১) সব‌কিছুর আ‌গে প্র‌য়োজন একটি ভ্রমন পিপাসু মন। ২) ভ্রমনকালীন কোনরূপ বিশৃঙ্খলা করা যা‌বে না, যে কোন সমস্যা নিজেরা আলোচনা করে সমাধান করতে হবে। ভ্রমন সুন্দমত পরিচালনা করার জন্য সক‌লের সর্বাত্মক সহায়তা প্র‌য়োজন। ৩) সকল ধর‌নের অশালীন আচরন ও দৃ‌ষ্টিকটু ব্যবহার করা থে‌কে সকল‌লেই বিরত থাকার অনু‌রোধ থাক‌বে। স‌র্বোত্তম শালীনতা বজায় রে‌খে সর্বোচ্চ আনন্দ উপভোগ করব। ৪) ভ্রমনকালীন প্রকৃতি ও পরিবে‌শের কোন রকম ক্ষতি হয় এমন কিছু আমরা করবনা। সকল ধর‌নের অপচনশীল বর্জ্য যেমন প্লাস্টিক প্যাকেট ও বোতল যেখানে সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে সংরক্ষন ও ক্ষেত্রবিশেষে সাথে করে নিয়ে আসা। ৫) স্থানীয় জনসাধারনের সাথে বন্ধুত্বপূণ আচরন এবং যথোপযুক্ত সস্মান প্রদর্শন করতে অনু‌রোধ থাক‌বে। অন্যের অনুম‌তি ছাড়া কারও গা‌ছের ফুল, ফল, সব‌জি, বাগান, পুকুর নষ্ট করা অন্যায় তাই এসব কাজ থে‌কে বিরত থাক‌তে হ‌বে সব সময়। ম‌নে রাখ‌তে হ‌বে একজ‌নের কার‌নে সক‌লের সুনাম নষ্ট হয় এমন কিছু করা যা‌বে না কখনওই। ৬) সকল প্রকার মাদক দ্রব্য বহন বা সেবন করা যাবে না। ধুমপান নিরুৎসা‌হিত করা হ‌চ্ছে। ম‌হিলা, শিশু ও অধুমপায়ী ভ্রমন সদস্যদের সাম‌নে ধুমপান ক‌ঠোর ভা‌বে নি‌ষিদ্ধ। বি‌শেষ প‌য়োজ‌নে নিরাপদ দূরত্ব ও অ‌গ্নি নিরাপত্তা বজায় রে‌খে দু‌রে ব‌সে ধুমপান কর‌তে পা‌রেন।

কাছাকাছি আর কি আছে

বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান
মহাস্থানগড় ও গোবিন্দ ভিটা (km)
মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি। প্রসিদ্ধ এই নগরী ইতিহাসে পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর নামেও পরিচিত ছিল। এক সময় মহাস্থানগড় বাংলার রাজধানী ছিল। যিশু খ্রিষ্টের জন্মেরও আগে অর্থাৎ প্রায় আড়াই হাজার বছর পূর্বে এখানে সভ্য জনপদ গড়ে উঠেছিল প্রত্নতাত্ত্বিক ভাবেই তার প্রমাণ মিলেছে। ২০১৬ সালে এটি সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে ঘোষণা হয়। প্রাচীর বেষ্টিত এই নগরীর ভেতর রয়েছে বিভিন্ন আমলের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। কয়েক শতাব্দী পর্যন্ত এ স্থান পরাক্রমশালী মৌর্য, গুপ্ত, পাল ও সেন শাসকবর্গের প্রাদেশিক রাজধানী ও পরবর্তীকালে হিন্দু সামন্ত রাজাদের রাজধানী ছিল। তৃতীয় খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে পঞ্চদশ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত অসংখ্য হিন্দু রাজা ও অন্যান্য ধর্মের রাজারা রাজত্ব করেন। মহাস্থানগড়ের অবস্থান বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় । বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১৩ কি.মি. উত্তরে করতোয়া নদীর পশ্চিম তীরে গেলে এই শহরের ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়৷। #বেহুলার বাসর ঘরঃ গোকুল মেধ বগুড়া সদর থানার অন্তর্গত গোকুল গ্রামে খননকৃত একটি প্রত্নস্থল। স্থানীয়ভাবে এটি বেহুলার বাসর ঘর নামেই বেশি পরিচিত। অনেকে একে লক্ষ্মীন্দরের মেধ বলে থাকে।[ এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। মহাস্থানগড় বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রায় ২ কি.মি দক্ষিণ পশ্চিমে গোকুল নামক গ্রাম এবং গোকুল, রামশহর ও পলাশবাড়ি গ্রাম তিনটির সংযোগ স্থলে এটি অবস্থিত > গোবিন্দ ভিটা, দুর্গের উত্তর পূর্ব কোণে অবস্থিত একটি মন্দির > খুল্লনার ধাপ, একটি মন্দির > মঙ্গলকোট, মহাস্থানগড় জাদুঘর থেকে ১.৬ কিলোমিটার দক্ষিণ বা দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত একটি মন্দির। > গদাইবাড়ি ধাপ, খুল্লনার ধাপ থেকে ১ কিলোমিটার দক্ষিণে একটি মন্দির > তোতারাম পন্ডিতের ধাপ, দুর্গের ৪ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত একটি আশ্রম > নরপতির ধাপ (ভাসু বিহার), তোতারাম পণ্ডিতের ধাপ হতে ১ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত একগুচ্ছ আশ্রম > স্কন্ধের ধাপ, গোকুল মেধের ২ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে একটি মন্দির > বৈরাগীর ভিটা, ১৯২৮-২৯ সালে খনন করা বৈরাগীর ভিটায় দুটি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়।
পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার (km)
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর বিহার বা সোমপুর মহাবিহার বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার। পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপাল দেব (৭৮১-৮২১) অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন। ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে স্যার আলেকজান্ডার কানিংহাম এই বিশাল স্থাপনা আবিষ্কার করেন। পাহাড়পুরকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বৌদ্ধবিহার বলা যেতে পারে। আয়তনে এর সাথে ভারতের নালন্দা মহাবিহারের তুলনা হতে পারে। এটি ৩০০ বছর ধরে বৌদ্ধদের অতি বিখ্যাত ধর্ম শিক্ষাদান কেন্দ্র ছিল। শুধু উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকেই শুধু নয়, চীন, তিব্বত, মায়ানমার (তদানীন্তন ব্রহ্মদেশ), মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া প্রভৃতি দেশের বৌদ্ধরা এখানে ধর্মজ্ঞান অর্জন করতে আসতেন। খ্রিস্টীয় দশম শতকে বিহারের আচার্য ছিলে অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান। ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের স্বীকৃতি প্রদান করে। পুন্ড্রবর্ধনের রাজধানী পুন্ড্রনগর (বর্তমান মহাস্থান) এবং অপর শহর কোটিবর্ষ (বর্তমান বানগড়)-এর মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত ছিল সোমপুর মহাবিহার। এর ধ্বংসাবশেষটি বর্তমান বাংলাদেশের বৃহত্তর রাজশাহীর অন্তর্গত নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামে অবস্থিত।

ভ্রমণের স্থান

Mahasthan Archaeological Museum

রিভিউ

0/5
রেট দেওয়া হয়নি
উপর ভিত্তি করে 0 রিভিউ
চমৎকার
0
খুব ভালো
0
এভারেজ
0
মন্দ
0
শোচনীয়
0
কোন রিভিউ নেই
You must log in to write review

Milky Way Express Verified

Member Since May 2025

53%
from 2,000.0 € 932.4 €

Extra prices:

({{type.price_type}})
{{type.price_html}}

Discounts:

{{type.from}} - {{type.to}} guests from {{type.from}} guests
- {{ formatMoney(type.total) }}
({{type.price_type}})
{{ type.price }}%
{{ formatMoney(type.price) }}
  • {{total_price_html}}
  • {{pay_now_price_html}}
from
2,000.0 € 932.4 €
0 রিভিউ